সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
নিয়ামুর রশিদ শিহাব॥ করোনা নামক একটি ক্ষুদ্র অণুজীব, যা বিশ্বকে গ্রাস করে ফেলছে। করোনাভাইরাস নামের এই মহামারিটি বর্তমানে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো বিশ্বের প্রায় সব দেশে। এর কবল থেকে বাদ পড়েনি বাংলাদেশও।
এদিকে গত ১৭ মার্চ থেকে স্কুল, কলেজ, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। সর্বশেষ ২৬ তারিখ ঘোষিত অনুযায়ী , সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৯ই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সে অনুযায়ী বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থীরাও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছেড়ে দ্রুত চলে গিয়েছে যার যার বাসস্থানে।
আমি বরিশাল পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের ২য় পর্বেও শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠান বন্ধ দেওয়া মানে সে এক অন্যরকম আনন্দ। ক্লাস, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, ক্লাস টেস্ট, ভাইবা, প্রেজেন্টেশনের জ্বালা থেকে কিছু দিনের জন্য রেহাই পেলেই শিক্ষার্থীরা যেন মহাসমারোহে বাড়ির দিকে রওনা হয়। শৈশবে পড়ে আসা ‘আজ আমাদের ছুটি রে ভাই, আজ আমাদের ছুটি’ মনে মনে আত্মহারা হয়ে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে বাড়ি চলে যায় অনেকেই। তবে এবার আর সেই আনন্দ নেই। শিক্ষার্থীরা করোনার প্রভাবে ছুটি পেয়েছে বটে, তবে বাড়িতে বড় ছুটি কাটানোটাও হয়ে গেছে বিরক্তিকর।
মন পড়ে আছে ক্যাম্পাসে। ইচ্ছে জাগে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে যেতে, তাদের নিয়ে আড্ডা দিতে। আগামী ২ই এপ্রিল থেকে আমাদের পর্ব মধ্য পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সবকিছু বন্ধ। আজ আমরা ঘরে বন্ধি। সবকিছু ফেলে আমরা আজ ঘরে।
যে ছুটি বহু প্রতীক্ষার, সে ছুটি এখন বিষাদের। কারণ বিশ্বে প্রতিদিনের মৃত্যুর তালিকা দীর্ঘ হচ্ছে। তাই মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জানাই যেন, খুব শীঘ্রই অবসান হোক মহামারী করোনার প্রবল গ্রাস।
শিক্ষার্থী
বরিশাল পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট
Leave a Reply